ই পর্চা e porcha বর্তমান সময়ে মানুষের মাঝে জমি নিয়ে প্রচুর সমস্যা দেখা যায়। কেউ কেউ তার মালিকানাধীন জমির দাগ নং খতিয়ান নম্বর সম্পর্কে জানেনা। আবার দেখা যায় যে নিজের জমি মনে করে দাগ খতিয়ান ভুল করে অন্যের জমি দহন করার চেষ্টা করে। এরকম হাজারো ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয় জমি নিয়ে। এ সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় ই পর্চা নামে একটি তথ্য সেবা প্রদান করেছে।
এই ই-পর্চা তথ্য সেবার মাধ্যমে আপনি অনায়াসেই আপনার জমির দাগ নম্বর খতিয়ান নম্বর এবং সার্টিফাইড কপি পেতে পারেন। অনলাইন সেবার মাধ্যমে অল্প খরচে সহজেই আপনি এই সেবা পাবেন। শুধুমাত্র তাই নয় আপনি নিজ ঘরে অবস্থান করে এই সেবা পেতে পারেন। আপনার যদি কোন কম্পিউটার স্মার্টফোন থাকে তাহলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের www.eporcha.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি সহজেই সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
www.eporcha.gov.bd
অনলাইন ই পর্চা
ই পর্চা ওয়েবসাইট ভিজিট করে নাগরিক লগিন অপশন থেকে লগিন করে আপনার আবেদনের তথ্য যাচাই করুন। আপনি ইতিমধ্যে আবেদন না করে থাকলে নাগরিক কর্ণার অপশন থেকে আবেদন করুন। আশা করি বুঝতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও কোন তথ্য জানতে প্রয়োজন হলে আমাদের কমেন্ট করে জানান।
অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই
দাগ নম্বর খতিয়ান নাম্বার থাকলে আপনি খুব সহজে জমির মালিকানা যাচাই করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক eporcha.gov.bd ওয়েবসাইটে দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই করতে। সর্বপ্রথম আপনাকে জমির মালিকানা যাচাই এর ক্ষেত্রে জমিটি কোন বিভাগে অবস্থিত সেটি নির্বাচন করতে হবে।
বিভাগ নির্বাচনের পথ চলা এবং ক্রমান্বয়ে উপজেলা নির্বাচন করতে হবে। সর্বশেষ আপনাকে মৌজা নাম্বার নির্বাচন করে খতিয়ান এবং দাগ নং প্রবেশ করতে হবে। খতিয়ান এবং দাগ নং প্রবেশ করার পর জমির মালিক এবং পিতার নাম উল্লেখ করতে হবে। সর্বশেষে একটি ক্যাপচা কোড পূরণ করে অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করলেই আপনার জমির পূর্ণাঙ্গ ডিটেল পেয়ে যাবেন।
আপনি কীভাবে ফর্মটি পূরণ করবেন তার একটি নমুনা নীচে দেওয়া হল।
খতিয়ান অনলাইন আবেদন-
- বিভাগ নির্বাচন: প্রথমে আপনি আপনার নিজের বিভাগ নির্বাচন করবেন।
- জেলা নির্বাচন: আপনি কোন জেলার বাসিন্দা তা বেছে নিন। ** উপজেলা নির্বাচন: আপনি কোন উপজেলার বাসিন্দা তা নির্বাচন করবেন।
- মৌজা নির্বাচন: আপনার যে কোনো মৌজায় আপনি যে জমির তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে চান তা নির্বাচন করুন।
- খতিয়ান টাইপ নির্বাচন: আপনি যে ধরনের লেজার বের করতে চান তা নির্বাচন করুন। যাইহোক, চার ধরনের খাতা আছে। তারা হল….. 1. CS লেজার। 2. এসএ খতিয়ান। 3. আরএস খতিয়ান। 4. বিএস খতিয়ান/সিটি সার্ভে। এই চারটি থেকে আপনি যে খাতাটি চান তা চয়ন করুন।
- স্পট নম্বর: আপনি যে দাগযুক্ত জমি নম্বরটি খুঁজে পেতে চান এবং যদি থাকে তা নির্বাচন করুন।
- খতিয়ান নম্বর: আপনি এখানে যে জমির খাতা নম্বরটি পেতে চান তা নির্বাচন করুন।
- মালিকানার নামঃ জমির মালিকানার নাম জানা থাকলে এখানে দিন।
- পিতা বা স্বামীর নাম: পিতা বা স্বামীর নাম জানা থাকলে তা এখানে উল্লেখ করুন।
- ক্যাপচা কোড লিখুনঃ এখানে উল্লিখিত ক্যাপসা কোডটির অনুরুপ ফাঁকা জায়গাতে টাইপ করুন।
ই পর্চা e porcha
বাসায় থেকে সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করুন-আমি এ পর্যন্ত আপনার জমির চিহ্ন নম্বর লেজার নম্বর সহ একটি প্যামফলেট দেখাতে সক্ষম হয়েছি। এই লিফলেটটি একটি শংসাপত্র নয়, যার মানে আপনি এটিকে স্বাভাবিক কাজ করতে ব্যবহার করতে পারেন।
ই-লিফলেটগুলি আপনাকে উদ্ধৃতি বা অন্যান্য ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুবিধা দিতে সক্ষম হবে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এই প্যামফলেটের আসল কপি আনতে হবে।এক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয় সার্টিফাইড কপি আপনার বাড়িতে ডাকযোগে পাঠাবে। জমির খাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করার সময়, আপনাকে আবেদনপত্রে উল্লেখিত খাতা পাওয়ার বিকল্পটি বেছে নিতে হবে।
খতিয়ানের জরুরী প্রয়োজন হলে, আপনি ওয়েব পোর্টালের জরুরী সেবা নিতে পারেন। আরে, কিন্তু আপনাকে আবেদনপত্রের পরিদর্শনে টিক দিতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করলে ভূমি মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট সময়ের পর আপনার বাড়িতে সার্টিফাইড কপি পৌঁছে দেবে।
ই-পর্চা কি? ই পর্চা e porcha
খতিয়ান নাম্বার বলতে আমরা যা বুঝি তা হল একটি মজার ভেতরে একই মালিকের অনেকগুলো জমি থাকতে পারে। আবার জমিগুলো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দাগ নম্বর এ থাকতে পারে। এতে করে কোন দাগ নাম্বার এর জমি এখনই মালিকের তা বোঝা কঠিন।
এজন্য একটি সহজ উপায় বের করেছে সরকার সেটি হচ্ছে খতিয়ান নাম্বার। একই মালিকানাধীন যতগুলো জমি থাকুক না কেন সবগুলো জমির দাগ নাম্বার ওয়ান নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করে একটি খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এটি হলো খতিয়ান নাম্বার।
খতিয়ান কত প্রকার? ও কি কি? ই পর্চা e porcha
১.সিএস খতিয়ান।
২.এসএ খতিয়ান ।
৩.আরএস খতিয়ান।
৪.বিএস খতিয়ান।
ই-পর্চা হলো ই তথ্য সেবার একটি অন্যতম মাধ্যম। ভূমি মন্ত্রণালয় একটি হালনাগাদ প্রক্রিয়া হচ্ছে ই-পর্চা। আমি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের কিছুটা হলেও উপকার করার চেষ্টা করছি। কারোনি প্রচারমাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জমি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য পেতে পারবেন। ই-পর্চা থেকে কিভাবে আবেদন করতে হবে সেটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করছি। আশাকরি আপনাদের একটু হলেও উপকার হবে।
- ই-পর্চা কি?
- খতিয়ান কত প্রকার? ও কি কি?
- অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই
-
www.eporcha.gov.bd
-
অনলাইন ই পর্চা
- বিএস খতিয়ান
- সিএস খতিয়ান
- এসএ খতিয়ান ।
- আরএস খতিয়ান।
পরিশেষে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আমরা সহজেই আমাদের জমির সঠিক মালিকানা যাচাই করতে পারি। এইভাবে, আমরা দালালদের লোভী লোকদের থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারি। মাননীয় সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়কে বিশেষ ধন্যবাদ আমরা সহজেই ই-প্রমোশনের কাজ করতে পারি।